ভারতের
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী
অভিযোগ করেছে যে
'বাংলাদেশী গরু পাচারকারীদের গুলিতে'
তাদের এক সদস্য
আজ ভোরে নিহত
হয়েছেন।
.jpg)
কোলকাতা থেকে
বিবিসির অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, এ
নিয়ে গত তিনবছরে তিনজন
বি এস এফ
কর্মী মারা গেলেন।
আর গত এক
বছরে পাচারকারীদের আক্রমণে আহত
হয়েছেন ৭৮ সীমান্ত রক্ষী।
বি
এস এফ বলছে,
আজ ভোর সাড়ে
চারটে নাগাদ উত্তর
চব্বিশ পরগণার ঘোজাডাঙ্গার কাছে
খলসি দিয়ে বাংলাদেশী গরু
পাচারকারীদের একটা বড়
দল ভারত থেকে
বাংলাদেশে গরু নিয়ে
যাচ্ছিল।
বি
এস এফের ১৪৪
নম্বর ব্যাটালিয়নের প্রহরী
দল ওই পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা
করলে প্রথমে দা,
বাঁশ দিয়ে আক্রমণ
করে পাচারকারীরা। তারমধ্যেই দেশী
পিস্তল থেকে গুলি
ছোঁড়া শুরু হয়।
কনস্টেবল রশিকুল
মন্ডলের ডান চোখে
গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ার পথেই মৃত্যু
হয় তাঁর।
.jpg)
অতিরিক্ত বাহিনী
নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে
বি এস এফের
একটি গাড়ীতেও গুলি
চালানো হয়।
বি
এস এফ অফিসারেরা বলছেন,
এত বড় দলের
আক্রমণের সামনেও তাঁরা
গুলি চালান নি
– শুধু ছররা বন্দুক
থেকে শূন্যে গুলি
চালানো হয়।
এই
ঘটনার পরে বি
এস এফ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দিল্লি
থেকে যেমন ঢাকায়
বিজিবির সদর দপ্তরে
ক্ষোভ জানানো হয়েছে।
এছাড়া
সীমান্তে পতাকা বৈঠকও
হয়েছে যেখানে ওই
দুষ্কৃতিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী
জানিয়েছে বি এস
এফ।
বি
এস এফের সিনিয়র অফিসারেরা জানিয়েছেন, প্রতিটা বৈঠকেই
পাচাররোধ নিয়ে বিজিবি
অনেক আশ্বাস দেয়
কিন্তু যখন দলে
দলে সশস্ত্র পাচারকারীরা ভারতে
চলে আসে, সেটা
আটকানোর জন্য কিছুই
করে না বাংলাদেশের সীমান্ত প্রহরীরা।
সীমান্তে গুলি
চালানো বন্ধের নির্দেশ আসার
পর থেকেই পাচারকারীদের হাতে
বি এস এফ
সদস্যরা আক্রান্ত হয়েই
চলেছেন।
বারে
বারে আক্রমনের ঘটনায়
বি এস এফ
সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ
বাড়ছে বলেও স্বীকার করছেন
বাহিনীর অফিসারেরা।